হেফাজত কর্মী এমদাদ গ্রেফতার। - দর্পণ বাংলা

শিরোনাম

Monday, May 31, 2021

হেফাজত কর্মী এমদাদ গ্রেফতার।


লতিফুর রহমান দীপু ঃ

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সোনারগাঁ রিসোর্ট কান্ডে সহিংস ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত দুই মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামি মোঃ এমদাদ নামে এক হেফাজত কর্মী গ্রেফতার। গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃএমদাদ(৪৬) বাড়ী মজলিশ এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন প্রধানের ছেলে। 

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে শনিবার(২৯মে) সকাল এগারোটায় উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) ইয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এস আই রাকিব, এসআই নাসির ও এসআই মতিউরসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন সিসিটিভির ফুটেজ ও অনুসন্ধানে সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার ইয়াউর রহমান জানান, তাণ্ডব চলাকালে প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে সত্যতায় দুই মামলার এজাহার নামীয় আসামি মোঃ এমদাদকে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমান স্যার এর নির্দেশে,আমার নেতৃত্বে এস আই রাকিব, এসআই নাসির ও এসআই মতিউরসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার খন্দকার প্লাজার অফিস রুম থেকে আটক করা হয়।এ সময় ধৃত আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ সুকৌশলে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামী এমদাদ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন বলেও জানান তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ এমদাদকে হেফাজতের ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদীর দুই মামলায় ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য গত ৩রা এপ্রিল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ হোন হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মামুনুল হক। সেই ঘটনায় মামুনুল হকের সমর্থকরা রয়েল রিসোর্টে ভেতরে ঢুকে পুলিশের উপর হামলা,পুলিশের গাড়ি ও রয়েল রিসোর্ট ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। এরপর তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর, আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস ভাংচুর ও সাংবাদিকের উপর হামলাসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়।

No comments:

Post a Comment